অপেক্ষা
রুক্ষ মরু,
ক্লান্ত মরিচীকা!
এক পশলা বৃষ্টির আশায়,
দেখছে বিভীষিকা!
মরু যখন সবুজ ছিল,
পায় নি সে বৃষ্টি,
আজ তাই তার বুকে,
রুক্ষতার অনাসৃষ্টি!
হঠাৎ করে আকাশ জুড়ে,
মেঘরাশি আসে জুড়ে!
মরু তাকিয়ে কেঁদে বলে—
“ এখন কেন তুমি?
সেই তো কবে শুকিয়ে
গেছে
আমার সমস্ত ভূমি!
আজ যদি পড় ঝরে,
পারব কি আর রাখতে ধরে?
যেতে না সেদিন বাষ্প হয়ে,
যেদিন ছিলাম সবুজ হয়ে!
আজ কেন ছাই আসছ বৃথা,
বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে!”
বৃষ্টি বলে—
“ আমার আশায় কেটেছে তোমার হাজার বসন্ত—
আমি জানি! তবু ছিল না উপায় মোর!
ছিলাম আমি রণ ক্লান্ত!
আজ সব বাঁধা ছেড়ে,
আসতে পেরেছি!
পাগলামি করে কেন হারাবে সেটা!
কথা বলবে না নিয়ে—বোঝনা যেটা!
খোড়ো তোমার ভূমি,
প্রবেশ করি আমি!
ঢেকে দাও আমায় আবার,
ছেড়ে যাবার চিন্তা নেই আর!
সেদিন যদি পড়তাম ঝরে,
থাকতাম শুধু উপরিতলে!
হারিয়ে যেতাম যখন তখন—
পারতে নাকো রাখতে কোলে!”
মরুতে বহুদিন বাদে আবার ঝড় উঠে— তবে এ যেন এক শান্ত নীরব প্রবাহ—
শুধু মাটিতে করে গেল অসংখ্য ছিদ্র!
©poem_1729