সরু বীথি পথে যেতে যেতে, কত আনন্দে মন ওঠে মেতে, কত কত বৃক্ষ নতুন রূপে, নতুন নতুন রহস্য রূপে— কেবলি মনে জাগায় নেশার বাহার!! হাতছানি দেয়— তাদের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবার!! কত হাতছানি উপেক্ষা করে, এগিয়ে যেতে হবে পথটি ধরে! দাঁড়াবার উপায় তো নাই— এ পথ যে অসীম তাই, দাঁড়িয়ে যদি পড়ি, কী করে করব এই অসীমকে জয়!! কী করে দেখব আরো নতুন রহস্য ভান্ডার, কী করে ভালবাসবো তাদের!! তবু পথে যেতে যেতে হঠাৎ! একটি বৃক্ষ মন কারল — তার সৌন্দর্য নয়, নয় তার অপার রহস্য!! বরং তাকে মনে হল এ যেন সেই— যাকে বহুকাল আগে ফেলে এসেছি, আমার সেই ছোট্টো বাগানে, তার অজ্ঞাত রহস্য নয়, জ্ঞাত রহস্য আটকে দিল আমায় পথে! তার নীচে দাঁড়িয়ে মনে হল — যেনে গেছি এই বিশাল বীথির প্রতিটি বৃক্ষের রহস্য— মনে ভাবলাম— আমার যাত্রা চলবে কিন্তু তাকে নিয়ে!! তাকে তুলে নিয়ে যাব আমার সঙ্গে, এই বীথি পথের কোথাও থাকব ছোট্ট ঘর করে, লাগাব সেখানে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে, সেইখানেই কাটবে দিন দুজনে একসাথে, তোর ছায়ায় বসে দেখবো অসীম বীথিকাকে!! কিন্তু কোথায় করব ঘর? কোথায় পাব উপকরণ! পাব কি আদৌও!! আরো এক ভয়— পারব কি তোর এই বিপুল, সুগভীরে প্রথিত শিকরকে তুলতে!? বিপুল এই বনানীর মাঝে হঠাৎ!! নিজেকে মনে হল বড়ো একা,বড়ো অসহায়!! — অত্রজিৎ সরকার ©poem_1729