রাস্তা তুই ফুরাস না! উফঃ কী লম্বা রাস্তা! শেষ নেই নাকি এর! অলিগলি বেয়ে এগিয়ে চলেছি, সময় পেরোল ঢের! আর কত চলব রে বাবা!! “আর একটু সোনা, আর একটু বাবা!” মা, বাবা কেবল পাশে ছিল, এটাই যা শক্তি! একদিন তারাও হারিয়ে গেল, দিয়ে আমায় মুক্তি! যাবার সময় শুধুই দিল অকারণ কিছু যুক্তি! মুক্তি ওরে, মুক্তি কোথায়? কবে আমিই পাব মুক্তি? না শেষ নাই! আরও বড়ো লাগে ছোটো ছোটো গলি! যখন তাদের মধ্যে দিয়ে আমি (একা কেবল একা) চলি! একজনই কেবল পাশে আছে, জীবনের চিরটাভাগ! যখন তাতেও মন না ভরে হয় তার প্রতি খালি রাগ! তখন সে সশশরীরে এল আমার অনেক কাছে! কানে কানে বলে যায়— “ক্লান্ত হোস না, পাছে— এই রাস্তার মাঝে থেমে গেলে কী করে পুরোটা দেখবি? আর রাস্তা হঠাৎ ফুরিয়ে গেলে, এই হাঁটাটা মিস করবি! আমায় নিয়ে হাঁটতে বুঝি ভালোলাগে না আর! তালে আর হাঁটিস না, আমায় তবে দে ছাড়! আমি বললাম—“ নানা পাগল তাই কখনো হয়!” “রাস্তা যদি ফুরিয়ে যায় — এটাই যে এখন ভয়!” ©poem_1729