কর্মমন্দির
কর্ম-মন্দির
মানুষ ভালবাসার দাস!
কর্ম-মন্দিরে পোঁতা আছে ওই যে খুঁটি,
তাতে বাঁধা পোক্ত দড়ি কভু না টুটি!
চক্রাকারে খাচ্ছি ঘাস।
সময় বয়ে যায়, সবুজ রুক্ষ হয়!
তবু যে বৃত্ত ছেড়ে বেরোবারে নারি, বৃত্তটাই শেষ সীমানা তখন বুঝতে পারি।
চারদিকে সবুজ লতা আমার বৃত্তে রুক্ষতা!
হায় রে, এবার মোরে যেতে হবে ভাই, শেষ লগ্নে চোখ দুটিতে জল এল তাই!
পুরানো সবুজের কথা মনে পড়ে যায়, মনে হাসি, ভাবি এ কেমন ছলনা হায়!
চোখ জুড়ে অশ্রু-বাষ্প, দৃষ্টি হল ঝাপসা, চোখ মেলে তাকিয়ে থাকা বৃথা প্রচেষ্টা!
এহেন কালে আবছা আলোয় ক্ষীণ চেয়ে দেখি, বৃত্ত-ধারে ক'টি লতা মাথা দুলাচ্ছে, একী!
তারা কেবল বলতে চায় যেতে দেব না!
হেসে বলি, আর আমায় বেঁধে রাখিস না!
এসে থেকে বাঁধা আছি এবার মুক্তি চাই।
আর আমায় বাঁধিস নারে ছেড়ে দে রে ভাই!
শুধু এই বলে, চোখ বুজলাম!
রুক্ষতা, সবুজ কোথায় কী!
সবই নিকষ কালো, আর কী!
বৃথাই চোখের জল ফেলছিলাম!
-পাপাই !!